১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, সেই ব্যক্তি শক্তিশালী নহে যে নিজের প্রতিপক্ষকে মল্লযুদ্ধে পরাজিত করে। সেই ব্যক্তিই শক্তিশালী যে ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারে। --বুখারী শরীফ

২। হযরত ওসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (ছঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে নিজে ক্বুরআন শিক্ষা করেছে এবং অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে। --বুখারী শরীফ

৩। হে বৎস! নামাজ পড়িতে থাক। সৎ কাজে আদেশ কর। অসৎ কাজে বাধা দাও এবং তোমার উপর যে বিপদ আসিবে উহাতে ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয় উহা বড় সৎ সাহসের কাজ। --আল ক্বুরআন

৪। যে ব্যক্তি কোন মুছলমানের দোষ ঢাকিয়া রাখিবে আল্লাহ পাক দুনিয়া ও আখেরাতে তাহার দোষ ঢাকিয়া রাখিবেন এবং আল্লাহ তায়ালা ঐ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করেন, যে পর্যন্ত বান্দা তাহার ভাইয়ের সাহায্য করিতে থাকেন। --মুছলিম, আবুদাউদ

৫। আল্লাহ পাক তোমাদের বাহ্যিক ছূরত ও সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও আমলের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। --মেশকাত শরীফ

৬। হজরত হোজায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করিম (ছঃ) যখন কোন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হইতেন তৎক্ষণাৎ নামাজে দাঁড়াইয়া যাইতেন। --আবু দাউদ

৭। অতএব, আমার বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও। যাহারা মনযোগ দিয়া কথা শোনে এবং উহার মধ্যে যাহা উত্তম তাহা গ্রহণ করে। আল্লাহ্ তায়ালা তাহাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ইহারা বোধশক্তি সম্পন্ন। --সূরা যুমার

৮। হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছুল (ছঃ) কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় শ্রোতারা ভালোভাবে বুঝিয়া লওয়ার সুবিধার্থে তিন বার উল্লেখ করিতেন। --বুখারী শরীফ

৯। তোমরা ধৈর্য এবং নামাযের সহিত সাহায্য প্রার্থনা কর। এই নামায অবশ্যই কষ্টকর, কিন্তু তাহাদের জন্য কষ্ঠকর নহে যাহাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় বিদ্যমান। --সূরা বাকারা,আয়াত-৭৫

১০। হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন নামাযের জন্য উদ্যোগী হইবে তখন প্রথমে নিজেদের মুখমন্ডল, কুনুই পর্যন্ত দুই হাত ধুইয়া লইবে, তার পর মাথা মাসেহ করিবে, তারপর পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত নিজেদের দুই পা ধুইবে। --সূরা মায়েদা, আয়াত-৬

১১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেণ, রাসূল (ছঃ) আমাদের বিষয়ে আদেশ করিয়াছেন, আমারা যেন মানুষের সহিত তাহাদের মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখিয়া আচরণ করি। --মুকাদ্দামা সহীহ মুসলিম

১২। মানুষের সহিত অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ করিও না। জমিনের উপর গর্ব প্রকাশ করিয়া চলাফেরা করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা অহংকারীকে পছন্দ করেন না।আর তুমি নিজের চলনে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং নীচু কন্ঠে কথা বল। সকল আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ গাধার আওয়াজ। --সূরা লোকমান

১৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, ঈমানদারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেই ব্যক্তি যে নিজ পরিবার পরিজনের সহিত নম্র ভদ্র আচরণ করে। --তিরমিযী

১৪। হযরত আবু দারদা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ)-কে আমি একথা বলিতে শুনিয়াছি, কোন ব্যক্তি যদি কষ্ট পায় অতঃপর ক্ষমা করিয়া দেয়, এ কারণে আল্লাহ্ তায়ালা তাহার মর্যাদা উচ্চ করেন এবং একটি পাপ ক্ষমা করিয়া দেন। --তিরমিযী

১৫। হযরত আবু জর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, দাঁড়াইয়া থাকার সময় তোমাদের মধ্যে যদি কাহারো রাগ আসে সে যেন সাথে সাথে বসিয়া পড়ে। বসিবার পর যদি রাগ চলিয়া যায় তবে ভালো, রাগ না চলিয়া গেলে সে যেন শুইয়া পড়ে। --আবু দাউদ

১৬। হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, যাহার অন্তরে খুব সামান্য পরিমাণও অহংকার থাকিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে না। --মুসলিম

১৭। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এবং হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, মুসলমান যখন রোগ শোক, দুশ্চিন্তা এবং অস্থিরতার সম্মুখীন হয়, তখন তাহার উছিলায় আল্লাহ্ তায়ালা তাহার পাপসমূহ ক্ষমা করেন। এমনকি যদি একটি কাঁটা ফুটে তাহার কারণেও ক্ষমা করা হয়। --বুখারী শরীফ

১৮। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তি বলিল, আমাকে কোন অসিয়ত করুন। তিনি বলিলেন, রাগ করিও না। সেই ব্যক্তি পুনরায় বলিল, আমাকে কোন অসিয়ত করুন। রাসূল (ছঃ) প্রতিবারই বলিলেন, রাগ করিও না। --বুখারী শরীফ

১৯। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, ঈমানদার কোন পুরুষ বা নারীর উপর আল্লাহর পক্ষ হইতে নানা প্রকার বিপদ মসিবত এবং দুর্ঘটনা আসে। কখনো জানের উপর কখনো সন্তানের উপর, কখনো অর্থ সম্পদের উপর। তারপর তাহার মৃত্যু হলে আল্লাহ তায়ালার সহিত সে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করে যেন তাহার কোন পাপ বাকি থাকে না। --তিরমিযী

২০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ)-এর চাইতে অধিক প্রিয় সাহবাদের নিকট অন্য কেহ ছিলেন না, কিন্তু ইহা সত্ত্বেও সাহাবগণ রাসূল (ছঃ)-কে দেখিয়া উঠিয়া দাঁড়াইতেন না। কারণ সাহাবাগণ জানিতেন, এইভাবে দাঁড়ানো রাসূল (ছঃ) পছন্দ করেন না। --তিরমিযী

২১। তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের মঙ্গলের জন্যই তোমাদিগকে বাহির করা হইয়াছে। তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ এই যে, তোমরা সৎ কাজে আদেশ করিয়া থাক ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করিয়া থাক এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনিয়া থাক। --আল ক্বুরআন

২২। হযরত জনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) বলিয়াছেন, ক্বুরআনের তাফসীরে যে ব্যক্তি নিজের মতামতের কিছু সংযোজন করিয়াছে, তাহা যদি সঠিকও হয়, তবু সে ভূল করিয়াছে। --আবু দাউদ

২৩। আর যখন ক্বুরআন পাঠ করা হয় তখন উহা কান লাগাইয়া শোন এবং চুপ থাক, যেন তোমাদের উপর রহমত করা হয়। --সূরা আ’রাফ

২৪। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, আমার নামে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তোমরা সতর্ক থাকিবে। সেই হাদীসই বর্ণনা করিবে যাহা নির্ভুল হওয়া সম্পর্কে তুমি নিশ্চিন্ত হও। জানিয়া বুঝিয়া যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে, সে যেন নিজের ঠিকানা দোযখে নির্ধারণ করিয়াছে। ক্বুরআনের তাফসীর যে মনগড়া ভাবে করে সে নিজের ঠিকানা দোযখে নির্ধারণ করিয়াছে। --তিরমিযী

২৫। কেয়ামতের দিবসে তাহাদের কোন ভয়ভীতি থাকিবে না এবং কোন প্রকার চিন্তাও হইবে না। --আল ক্বুরআন

২৬। মোমেন তো তাহারাই, যাহাদের অন্তর কম্পিত হয় যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন উহা তাহাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে। --সূরা আনফাল

২৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, হযরত মুহাম্মদ (ছঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, সকল জিকিরের মধ্যে উত্তম জিকির হইতেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং সকল দোয়ার মধ্যে উত্তম দোয়া হইতেছে আলহামদু লিল্লাহ্। --তিরমিযী

২৮। তুমি কখনো মনে করিও না জালেমরা যাহা করিতেছে আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে উদাসীন, তিনি উহাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন তাহাদের চক্ষু হইবে স্থির। ভীতবিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে তাকাইয়া উহারা ছুটাছটি করিবে, নিজেদের প্রতি উহাদের দৃষ্টি ফিরিবে না এবং উহাদের অন্তর হইবে উদাস। --সূরা ইব্রাহীম- আয়াত-৪২,৪৩

২৯। হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত আসিবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ বলা বন্ধ না হইয়া যায়। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে এমন কোন ব্যক্তি থাকা পর্যন্ত কেয়ামত হইবে না, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ আল্লাহ্ বলে। --মুসলিম

৩০। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হইবে এইরুপ মনে না করিলে আমি তাহাদের প্রত্যেক নামাযের জন্য মেসওয়াক করার জন্য আদেশ দিতাম। --মুসলিম

৩১। হযরত শোরায়হ (রঃ) বলেন, উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, রাসূল (ছঃ) ঘরে আসার পর প্রথম কি কাজ করিতেন? হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, তিনি প্রথমে মেসওয়াক করিতেন। --মুসলিম

৩২। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলিয়াছেন, আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় জায়গা হইতেছে মাসজিদ আর সবচেয়ে অপছন্দনীয় জায়গা হইতেছে বাজার। --মুসলিম

৩৩। হযরত কাব ইবনে উরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, নামাজের পর কিছু কালেমা পাঠ করা হয় যাহা পাঠকারী কখনো বঞ্চিত হয় না। কালেমাগুলি হইতেছে, প্রত্যেক নামাজের শেষে ছোবহানাল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদু লিল্লাহ্ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। --মুসলিম

৩৪। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, আমার ইচ্ছা হয় কিছু সংখ্যক যুবককে কিছু কাঠ সংগ্রহ করিয়া আনার জন্য বলি। আর যাহারা কোন প্রকার ওজর ব্যতীত ঘরে নামাজ আদায় করে, তাহাদের ঘরগুলি সেই লাকড়িতে আগুন ধরাইয়া জ্বলাইয়া দেই। --আবু দাউদ

৩৫। তুমি আমার সেই সকল বান্দাকে সুসংবাদ দাও যাহারা আল্লাহর এই বাণী কান লাগাইয়া শ্রবণ করে, তারপর ইহার উত্তম কথাগুলির উপর আমল করে। এই সব লোক তাহারা, যাহাদের আল্লাহ্ তায়ালা হোদায়েত দান করিয়াছেন আর তাহারাই জ্ঞানী লোক। --সূরা যুমার

৩৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসূল (ছঃ)-এর নিকট হইতে বর্ণনা করেন, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, যাহার দুই চোখ অন্ধ হইয়া গিয়াছে, যাহার উপর সে ছবর করিয়াছে এবং নেকের প্রত্যাশা করিয়াছে, তাহার জন্য জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদানে আমি সন্তুষ্ট নহি। --বুখারী শরীফ

৩৭। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, কোনো মুলমান যদি বিছানায় ঘুমাইতে যাওয়ার পর ক্বুরআনের কোনো একটি সূরা পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যক্তির হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। তারপর সেই ব্যক্তি জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত কোনো কষ্ট দায়ক জিনিস তাহার নিকটবর্তী হইতে পারে না। --তিরমিযী

৩৮। হযরত আবু মূসা আশাআরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, কষ্টদায়ক কথা শোনার পরও আল্লাহ্ তায়ালার চেয়ে অধিক ধৈর্য ধারণকারী কেহ নাই। মুশরিকগণ আল্লাহর পুত্র আছে বলিয়া অপপ্রচার করে তার পরও আল্লাহ তাহদেরকে নিরাপত্তা এবং রিযিক দেন। --বুখারী শরীফ

৩৯। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) বলিয়াছেন, দুনিয়া মোমেনের জন্য জেলখানা আর কাফেরের জন্য জান্নাত। --মুসলিম

৪০। হযরত আমর ইবনে শোয়াইব তাঁহার পিতার নিকট হইতে এবং তিনি তাঁহার পিতার নিকট হইতে বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, সাত বছর বয়সের সময় তোমার সন্তানদের নামাজের আদেশ কর। দশ বছর বয়সের সময় নামাজ আদায় না করিলে প্রহার কর। এই বয়সে (ভাই বোনদের) শয়ন শয্যা আলাদা করিয়া দাও। --আবু দাউদ

৪১। হযরত ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, ক্বুরআনের কারণে আল্লাহ তায়ালা বহু মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং বহু মানুষের মর্যাদা কমাইয়া দেন। অর্থাৎ যাহারা ক্বুরআন অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ তায়ালা তাহাদের সম্মানিত করেন আর যাহারা আমাল করে না তাহাদের অসম্মানিত করেন। --মুসলিম

৪২। হযরত মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, মানুষের অর্থ সম্পদের লোভ ও সম্মানের লোভ ও সম্মানের লোভ তাহার দ্বীনের যতটুকু ক্ষতি করে, ২টি ক্ষুধার্ত বাঘকে বকরীর পালের মধ্যে ছাড়িয়া দিলেও অতোটা ক্ষতি করিতে পারে না। --তিরমিযী

৪৩। লোকে যাহা বলে তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্য সহকারে তাহাদের পরিহার করিয়া চল। --সূরা মোযযাম্মেল

৪৪। হযরত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, দুনিয়ার মূল্য যদি আল্লাহ্ তায়ালার নিকট মশার একটি পাখার সমানও হইত, তবে আল্লাহ্ তায়ালা কোন কাফেরকে দুনিয়া হইতে এক চুমুক পানিও পান করিতে দিতেন না। --তিরমিযী

৪৫। হযরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, সওয়াবের আশায় মানুষ যখন নিজ পরিবার পরিজনের জন্য অর্থ ব্যয় করে, তখন সে সদকা করার সওয়াব লাভ করে। --বুখারী শরীফ

৪৬। ঐ সব নামায আদায়কারীদের জন্য সর্বনাশ যাহারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। যাহারা এরকম তাহারাই রিয়াকার। --সূরা মাউন

৪৭। হযরত হেন্দ ইবনে আবু হালাহ (রাঃ) রাসূল (ছ)-এর গুণাবলী বর্ণনা করার সময় বলেন, তিনি সব সময় গম্ভীর এবং চিন্তাযুক্ত থাকিতেন। মুহূর্তের জন্যও তাঁহার আরাম ছিল না। প্রায়ই তিনি নীরব থাকিতেন, প্রয়োজন ব্যতীত কোন কথা বলিতেন না। --তিরমিযী

৪৮। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) আমার কাঁধ ধরিয়া বলিলেন, দুনিয়ায় তুমি মুসাফির অথবা পথিকের মত থাকিও। --বুখারী শরীফ

৪৯। হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছঃ) বলিয়াছেন, আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টির আশায় তুমি যাহা কিছু ব্যয় কর তোমাকে শীঘ্রই তাহার বিনিময় দেওয়া হইবে। এমনকি স্ত্রীর মুখে খাবারের গ্রাস তুলিয়া দেওয়ার জন্যও সওয়াব পাইবে। --বুখারী শরীফ

৫০। আল্লাহ্ তায়ালা শান্তির ঘরের দিকে আহবান জানান আর তিনি যাহাকে ইচ্ছা করেন তাহাকে সরল পথ প্রদর্শন করেন। --সূরা ইউনুস

৫১। হযরত জাবের (রাঃ) বর্ণনা করেন, সাহাবাগণ বলিলেন হে রাসূল (ছঃ)! সাকিফ গোত্রের তীর আমাদের শেষ করিয়া দিতেছে, আপনি তাহাদের জন্য বদদোয়া করুন। রাসূল (ছঃ) বলিলেন, হে আল্লাহ্! সাকিফ গোত্রের লোকদের হেদায়াত দাও। --তিরমিযী

৫২। হযরত আবু বারযা আছলামী (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছূলুল্লাহ (ছঃ) বলিয়াছেন, কেয়ামতের দিন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে মানুষকে জিজ্ঞাসা করার আগে কেহ এক পাও সরাইতে পারিবে না। (১) তোমার জীবন কি কাজে ব্যয় করিয়াছ? (২) অর্জিত এলেম অনুযায়ী কতটুকু আমল করিয়াছ? (৩) অর্থসম্পদ কোথা হইতে উপার্জন করিয়াছ এবং কোথায় ব্যয় করিয়াছ? (৪) তোমার শারীরিক শক্তি কি কাজে ব্যয় করিয়াছ? --তিরমিযী

৫৩। যাহারা পাকপবিত্র থাকে আল্লাহ তায়ালা তাহাদের পছন্দ করেন। --সূরা তওবা, আয়াত-১০৮

৫৪। পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় এবং এই যে সমুদ্র, ইহার সহিত যদি আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হইয়া কালি হয়, তবুও আল্লাহর বাণী নিঃশেষ হইবে না। আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। --সূরা লোকমান, আয়াত-২৭

৫৫। মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ। তাহারা নহে যাহারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং উপদেশ দেয় ধৈর্যের। --সূরা আসর
Developed by Md. Ataur Rahman
Cell: 01715 446 498